ঈদকে সামনে রেখে চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা। পা ফেলার ঠাঁই নেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরের মার্কেটগুলোতে (১৪টি মার্কেট)। অভিজাত সব শপিংমল থেকে সাধারণ মার্কেট কিংবা ফুটপাত সর্বত্রই ঢল মানুষের। হাতে হাতে শপিং ব্যাগ। উদ্দেশ্য পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ঈদের চাহিদা মেটানো। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও থামাতে পারছে না মার্কেট অভিমুখীদের।
গোটা পৌর শহরে এখন কেনাকাটার মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। সব ধরনের পোশাকসামগ্রী, প্রসাধনী, টুপি, জুতা, ভোগ্যপণ্য কি কেনাকাটা হচ্ছে না ঈদকে কেন্দ্র করে। দিনভরই চলছে কেনাকাটা। ইফতারের পর ভিড় বাড়ছে। সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা। সারা রাতই দোকান খোলা। তারা বলছেন, এ বছর বিক্রি ভালো। কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই।
জানতে চাইলে গাজী কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শিবলু ভাট বলেন, এ বছর বেচাকেনা ভালো। এর কারণ হল এ বছর রাজনৈতিক অবস্থা এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো। বর্তমানে সারারাতও দোকান খোলা থাকে। কারণ দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৬১ অনুসারে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যায়।
আর গোছানোর জন্য আরও আধা ঘণ্টা সময় রয়েছে। তবে রোজার ঈদ, কোরবানি এবং পূজা উপলক্ষে আইনে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যতক্ষণ ক্রেতা থাকবে, তত দোকান খোলা থাকে। ১৫ রোজার পর থেকে এই নিয়ম শুরু হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ১১ তলা বিশিষ্ট গাজী শপিং কমপ্লেক্স, মিয়াজী সুপার মার্কেট, রায়পুর সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, ভূইয়া মার্কেট, হাজী আকরব আলী সুপার মার্কেট, ডি হোসেন সুপার মার্কেট ও পাঁচতলা মার্কেটেসহ ১৪টি মার্কেটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।
তবে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন, বিক্রেতারা এবার বিভিন্ন জিনিসের দাম গতবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি নিচ্ছে।
কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে শপিং করতে এসেছেন দুই বোন মিতু ও মিম এবং গৃহবধু শাহানাজ বেগম বলেন, রমজানের শুরু থেকেই এ মার্কেটে আসছি। এখানে এলে সবার জন্য সবকিছু এক সঙ্গে কেনা যায়। দামও তুলনামূলক কম। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরাবরের মতো ভারতীয় এবং পাকিস্তানি কাপড় বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। নকশা ভেদে এসব কাপড়ের দাম গজপ্রতি ৮’শ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিউমার্কেটের আশপাশে অনেকেই ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছেন। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের মার্কেটগুলোতে টহল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ছাড়া ক্রেতারা যেন নির্ভিঘেœ কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
0Share