লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক ফটোকপি ও কম্পিউটার ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গত মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ১নং উত্তর হামচাদী ইউনিয়নের কাজীর দিঘীর পাড় মাছ বাজারের পূর্ব পাশে একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতলে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত আলমগীর হোসেন রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আকবর আলী বাড়ীর মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। সে রায়পুর পৌর শহরে শাহী হোটেল সংলগ্ন তানহা ফটোকপি ও কম্পিউটার ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
নিহত আলমগীরের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, মঙ্গলবার বিকালে বাসা থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে মন্দারী বাজারের এক ব্যবসায়ীকে দেওয়ার জন্য বের হয়। সন্ধায় ওই ব্যবসায়ীকে টাকা দিয়ে রায়পুর উপজেলার সোনাপুর এলাকার বাসাবাড়ী বাজার নামক স্থানে পৌঁছে বলে মোবাইল ফোনে জানান। এসময় আরও বলেন এখানে একটু কাজ আছে। তা সেরে চলে দ্রুত বাসায় আসছি। তাঁর এক ঘন্টা পর থেকে রিং হলেও আর কোন ফোন সে রিসিভ করছে না। রাত ৯ টার পর ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রাত থেকে তাঁকে অনেক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে না পেয়ে বুধবার সকালেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। সকাল ১০ টার দিকে খবর পাই রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বর্ডার এলাকা উত্তর হামচাদী ইউনিয়নের বাজারের পাশে একটি ডোবায় গলাকাটা ক্ষছবি ও মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার স্বামীর লাশ পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্যবসায়ী কোনো বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
0Share