লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বড় মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্ধন্ধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্ততপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ০৬ জানুয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি পত্রের মাধ্যমে রায়পুর বড় মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেটের
মোতাওয়াল্লী হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মশহিদুল্লাহর ছেলে মো. কামরুল আল মামুনকে নিযুক্ত করা হয়।
একই পত্রে মো. কাজী জামসেদ কবির বাকি বিল্লাহকে অব্যাহতি প্রাপ্ত কমিটির সেক্রেটারী উল্লেখ করে ১০ দিনের মধ্যে এস্ট্রেটের দায়িত্ব ওই মোতাওয়াল্লীকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
১৭ জানুয়ারী অব্যাহতি প্রাপ্ত সেক্রেটারী বাকি বিল্লাহ মসজিদে দাঁড়িয়ে নতুন মোতাওয়াল্লীকে পরিচয় করিয়ে দেন। ২৪ জানুয়ারী ওই মোতাওয়াল্লী মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। এসময় হঠাৎ করে রায়পুর পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও অব্যাহতি প্রাপ্ত সেক্রেটারী বাকি বিল্লাহ এবং তার সমর্থকরা তার উপর হামলা করে। এসময় মসজিদে দু’পক্ষের মধ্যে হট্টগোল বাধে। এতে কমপক্ষে ৫ জন মুসল্লী আহত হন। এদের মধ্যে কামরুল আল মামুন, বাহার হোসেন, আব্দুল গফুর সেলিম আহত হন।
জানতে চাইলে জামসেদ কবির বাকি বিল্লাহ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা মসজিদে অবস্থান নেয়। তাছাড়া খতীবের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে বক্তব্য দিতে গেলে মুসল্লীরা তার উপর হামলা করে। এসময় তাদের পাল্টা হামলায় অন্যান্য মুসল্লীরা আহত হন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে রায়পুর থানার ভাপ্রোপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া ক্যামরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
0Share