এমআর সুমন: লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলা এই প্রথম (১৩) বছরের এক শিশুর করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে পরিবারটি স্থানীয়দের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে উপহারস্বরূপ ফলমূল পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ নানান ফলমূল দিয়ে সাজানো শুভেচ্ছা প্যাকটির সঙ্গে ছিল একটি শুভেচ্ছা বাণী স্নেহের আঁচল’ মা ও নবজাতক শিশুর যত্নে, করো সচেতনতায় আপনাদের পাশে আছে উপজেলা নির্বাহী অফসার। এমন একটি চিরকুট রেখে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এড. ইউসুফ জালাল কিসমত।
উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর মানসিকতার পরিবর্তন ও রোগীর প্রতি মমত্ববোধ বাড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই উদ্যোগে নিয়েছেন। করোনাভাইরাস অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ, কিন্তু মরণব্যাধি নয়। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে সুস্থ হতে সহায়তা করে। রোগীর প্রতি মানবিক আচরণ করতে ইউএনও ও আমি প্রতিনিদিই ওই রোগীর খোজ-খবর নিচ্ছি।
ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, এই দু:সময়ে করোনা আক্রান্তরা যেন নিজেদের একা না ভাবেন, তারা যেন মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকেন তাই এই প্রচেষ্টা। করোনাভাইরাসের আতংক যেন ওই ব্যক্তিকে হতাশ করতে না পারে, সে জন্যই এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এই উদ্যোগ তাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক শিশু। সে বাড়ীতেই থাকতেন। আসপাশের কেউ বিদেশ ও ঢাকা-নারায়গঞ্জ থেকে আসেনি। কি ভাবে ছেলেটি করোনা আক্রান্ত হলেন এটা এখন সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীনে শিশুর মন আরও ভেঙ্গে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটির কথা চিন্তা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিশুটিকে বাড়ীতে পৌছে দিয়ে পরিবারের সাথে ঘরে আইসোশেনের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দিয়ে খোজ-খবর দিচ্ছেন প্রতিদিন।
0Share