লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা ৭ নং বামনী ২ নং ওয়ার্ডের ঢালিবাড়ির নুরজাহান হত্যার অভিযুক্ত অন্যতম আসামী এমরান হোসেনকে আটক করেছে রায়পুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ জুন) বাংলা বাজার থেকে নুরজাহান হত্যার অভিযুক্ত প্রধান আসামী এমরান হোসেনকে আটক করে ।
এসআই নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান সকালে তার ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে নুরজাহান হত্যার অভিযুক্ত প্রধান আসামী এমরান হোসেনকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত ঈদ -উল ফেতরের দিন একই বাড়ির এমারানের ভাতিজা এবং নিহত নুরজাহানের (৫৫) ছোট মেয়ে মায়ার ছেলে পুনমের (১২) সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে, বাচ্ছাদের এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরজাহান ও এমরানের সাথে বাকবিতন্ডতার একপর্যায়ে এমরান ঘর থেকে আনুমানিক ৩ফুটের একটি জিআই পাইপ নিয়ে এসে মধ্যবয়সী নুরজাহানকে সেই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
মারার এক পর্যায়ে নুরজাহানকে বাঁচাতে তার মেয়ে মিলি বেগম,মায়া বেগম এবং মায়ার ছেলে পুনম এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করে এমরান এবং তার বাবা আবুল কালাম ( ৫৫) সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।এসময় নুরজাহানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং মায়ার ছেলে পুনমকে পিটিয়ে একটি পা’ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
পরে বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে এসে মারাত্নক জখম হওয়া নুরজাহান,পুনম ও তাদের অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন এবং সেখানে ৯দিন চিকিৎসা অবস্থায় থাকলে নুরজাহানের পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ৩ জুন বুধবার তাকে পূনরায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নুরজাহান বেগমের মৃত্যুর পর তার ছোট মেয়ে মায়া বেগম ৭ জনকে আসামী করে মামলা করে। মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম আসামী ১। এমরান হোসেন, ২। এমরানের বাবা আবু কালাম, ৩। এমরানের মা তাহেরা বেগম, ৪। এমরানের স্ত্রী সাবিনা, ৫। এমরানের বড় ভাবি মাহিমা, ৬। এমরানের ভাগিনা রাযহান ৭। এমরানের ভাতিজা অন্তর। এই ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তোতা মিয়া বলেন, আসামী এমরানকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
0Share