লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন খলিফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এ দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সামনে উত্তর চরবংশী ইউপি আয়োমীলীগের আয়োজিত ঘন্ট ব্যাপি এ মানববন্ধনে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
গত ১১ জুলাই রাতে চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে স্বতন্ত্র এমপি শহিদ ইসলামের পক্ষে আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলের জেরে এমপির অনুসারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের নির্দেশে তাঁর বাহিনী দফায় দফায় স্থানীয় আ,লীগের অফিসে ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে এ হামলা করে।
এতে দলীয় অফিসসহ অন্তত ১৫টি ঘর বাড়ী ভাংচুর ও লুট করে নিয়ে যায় তাঁরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন ফলীফা, সবুজ হাওলাদার, মাইনুদ্দিন, সোহাগ দেওয়ান, আব্দুল কাদের ও জুলহাসসহ ২০ জনকে কুপিয়ে গুরুত আহত করে ওই বাহিনীর লোকজন। এ নিয়ে থানা দু’টি মামলা হয়েছে।
এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন হাওলাদারসহ অন্তত তিন শতাধিক লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মানববন্ধনে ব্যক্তরা বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি শহিদ ইসলাম পক্ষে থেকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র নির্ববাচন করেন। এতে তিনি বিপুল ভোটে আ,লীগের দলীয় প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। ওই থেকেই এমপির পক্ষে থাকার জন্য আ,লীগের লোকজনে চাপসৃষ্টি করে।
কাউ কথা বলেই তাঁর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে এলাকা ছাড়া করে। গত শুক্রবার এসব বিষয় কথা বলে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন খলিফার উপর হালাম করে আ,লীগের দলীয় অফিস ভাংচুর করে বাড়ীতে হামলা করে।
বক্তরা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ও দলীয় অফিস ভাংচুরের ঘটনায় এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই এলাকায় এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন বাড়ীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0Share