লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আবুল কাশেম (৫০) নামে এক ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী অন্ত;সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলায় ধর্ষক আবুল কাশেমকে বুধবার রাতে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রামগতিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কাশেম উপজেলার রামগতিরহাট এলাকার সফিক উল্যাহর ছেলে।
পুলিশ জানায়, এক মাস আগে ওই কিশোরীকে ঘরে একা রেখে তার মা অসুস্থ নানীকে দেখতে নানার বাড়িতে যায়। এ সুযোগে দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশী আবুুল কাশেম ঘরে ঢুকে মুখচেপে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিছুদিন পর মাকে সে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে গর্ভপাতের জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গেলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে বুধবার মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কাশেমকে গ্রেপ্তার করেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাশেম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হবে।’
এদিকে রায়পুরে ১০বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে বাবুল মিয়া নামে এক বখাটেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে পৌরসভার পূর্বলাছ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে রায়পুর থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে রায়পুর পৌরসভার পূবলাছ এলাকায় ওই শিশুর বাবাকে বাড়িতে খুজঁতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ১০ বছরের শিশুকে একা পেয়ে ধর্ষন করে বাবুল মিয়া। পরে শিশুর শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় বাবুল মিয়া। পরে রাতে শিশুর বাবা বাদী হয়ে বাবুলকে আসামী করে মামলা করে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, সোমবার দুপুরে ওই শিশু বাসায় একা ছিল। এসময় শিশুর বাবা-মা বাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে একা পেয়ে বাবুল শিশুকে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মমিন উল্যার ছেলে।
0Share