এমআর সুমন: করোনাভাইরাসের আপদকালীন সময়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অনেকেই নিজের ছাদে বাগানের পরিচর্যা করে সময় কাটাচ্ছেন। ফুলে, ফলে, গাছ আর সবজিতে ভরে গেছে অনেকের ছাদ বাগান। আর এই ছাদ কৃষিতে উৎসাহের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পৌর শহরের ধান হাটা সড়কের তিনতলা বাড়ির ছাদে নানা জাতের ফল ও শাকসবজির বাগান করেছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম মুরাদ। প্রথমে বাগানটি শখের বশে শুরু করেন তিনি। কিন্তু এখন গাছপাকা আম, ডালিমসহ নানা ফল পেড়ে খান। তরতাজা শাকসবজি কেটে রান্না করেন। এতে তাঁর আনন্দ আর ধরে না তার। রায়পুরে শুধু এই ব্যবসায়ী নন, আরও অনেকে ছাদে বাগান করছেন। এ শহরে ছাদবাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে করোনাভাইরাসের এই এক বছরে।
জানতে চাইলে মুরাদ বলেন, করোনা ভাইরাসে ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ থাকায় অবসর সময়ে ছাদে সবজি লাগিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। গত এক বছর ধরে এই বৃক্ষ প্রেমী নিজের বাড়ির দেড় হাজার স্কয়ার ফিট ছাদে প্রায় সহস্রাধিক নানান প্রজাতির ফুল, ফল, সবজি, ঔষধি গাছের বাগান করছেন। শুধু ফুল আর ফলে নয় সবুজে ভরে উঠেছে ছাদের বাগানটি। এতে তাঁর পরিবারের ফল ও সবজির চাহিদা মিটছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা ছাদের বাগানে কাজ করেন। এতে তাঁর ভালো লাগে। আর নিজের গাছ থেকে পাকা ফল পাড়ার আনন্দের তুলনাই হয় না। সারা বছরই কোনো না কোনো সবজি হচ্ছে। যখন-তখন তুলে আনা যাচ্ছে। শুধু নিজেই না, উৎসাহ দিচ্ছেন অন্যদেরও।
শহরের এই সড়কের বাসিন্দা আবদুর রহিম একজন সরকারি চাকুরীজিবী। তাও বাগান করার খুব শখ ছিল। কিন্তু চাকুরী করায় দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। করোনাভাইরাসের আপদকালীন সময়ে এর ফাঁকে তিনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। নানা ফল, ফুল ও শাকসবজির পাশাপাশি তাঁর বাগানে রয়েছে পুদিনা পাতা, কারিপাতা, পেয়ারা, ঘৃতকুমারী। তিনি বলেন, এ বছর তাঁর ছাদের মাল্টা গাছে ফল ধরেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে শহরের ১০টি বাড়ির ছাদে বাগানের তালিকা রয়েছে। তবে এ তালিকার বাইরেও শহরের বেশ কিছু বাড়ির ছাদে বাগান রয়েছে বলে জানা গেছে।
0Share