তাবারক হোসেন আজাদ,রায়পুর: রায়পুরে একটি দোকান দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের সাথে সংঘর্ষে মনির হোসেন নামে পোল্টি খামার ব্যবসায়ীর বসতবাড়ী ভাংচুর, চাঁদা দাবি করে সমাজচুত্য করে রেখেছে স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী। এছাড়াও ওই পরিবারটি এখন চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে। ঘটনাটি ঘরেছে রোববার রাতে ১২ টায় উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের হাজির হাট এলাকায়। সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ ওই গ্রামের মজিবুল হকের মেয়ে ইয়াসমিন জানান, গত কয়েকদিন আগে বাড়ীর সামনে তাদের একটি পরিত্যক্ত দোকান এলাকার জসিম, শাহাদাত, কামাল, মুক্তার ও শরিফসহ কয়েকজন দখল করে নেয়। পরে শুক্রবার বিকালে ওই ঘরটি সংস্কার করার জন্য তাদের বাগানের বাঁশ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিতে গেলে দেশিও অস্ত্র নিয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসে। এসময় উভয়ের লোকদের সংঘর্ষে জাহিদ হোসেন নামের এক ছাত্রের ডান হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে যায়। এঘটনায় তাদেরকে উচ্ছেত করে সম্পতি দখলে নেওয়ার জন্য স্থাণীয় কয়েক প্রভাবশালীর প্ররোচনায় রায়পুর থানায় পরিবারের ৭জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এতে পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় স্থানীয় মেম্বারকে নিয়ে কয়েক বখাটে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছে। তা না হলে সমাজচুত্য করে এলাকা থেকে বিতারিত করার হুমকি দিচ্ছে। গত দু’দিন ধরে বাড়ীতে রাতের বেলায় হামলা, ভাংচুর চালিয়ে ভয়ভিতি দেখাছে।
এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, এঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পরিবারকে সমাজচুত্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই পরিবারের সাথে সাংবাদিকসহ বাহিরের কোন লোক আসলে আমাদের পরামর্শ নিতে হবে। চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনাটি নিজেরাই সাজিয়ে এলাকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালেহ আহম্মেদ জানান, ভাংচুর, চাঁদা দাবি ও সমাজচুত্য করার ঘটনাটি ক্ষতিগ্রস্থ মনিরের পরিবার জানিয়েছেন। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করে ওই বাড়ীতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ মনিরের বাড়ী পরিদর্শন করেছি। মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
0Share