দেলোয়ার হোসেন মৃধ্যাঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৌর বিদ্যুৎ পরিষদ অব্যাহত লোডসেডিংয়ে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি, কতৃপক্ষের নানা অনিয়ম-দুর্ণীতি, বিতরনে খামখেয়ালিপনা ও বরাদ্ধকৃত বিদ্যুতের নায্য হিস্যা না পাওয়ায় আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে উর্ধ্বতন মহল এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অবরোধ কর্মসূচীসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। রবিবার রায়পুর রিপোটার্র ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত অভিযোগে ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কাউন্সিলর জাকির হোসেন নোমান, যুগ্ম আহবায়ক আওয়ামীলীগ নেতা রোমান পাটওয়ারী এসব কথা বলেন। এসময় পৌর বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত অভিযোগে নেতারা আরও বলেন, প্রথম শ্রেনীর পৌর শহর রায়পুরে ২০ লক্ষ গ্যালন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংকিতে ৫-৭ হাজার গ্রাহকের চাহিদামত পানি সরবরাহ করতে প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা বিদ্যুতের প্রয়োজন। গড়ে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টার বেশী সময় বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বিশুদ্ধ পানিও পাচ্ছে না পৌরবাসী। রাখালিয়ায় অবস্থিত বেঙ্গল সু-ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকলেও পৌর এলাকার গ্রাহকগন বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যুত বিতরনে কোন কোন এলাকাকে গুরুত্ব না দিয়ে কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের আইপিএস উপহার দেয়া হয়েছে। তারা এসব ব্যাপাবে উধ্বতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকাবাসী জানান, তিব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিং সম্প্রতি বেড়ে যায়। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে রায়পুর পৌরসভা সহ উপজেলায় সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী লোকজনের মাঝে অসস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ দিলে ২২ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। শুধু আসে আর যায়। একাধিকবার বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে জনগনের দুর্ভোগের কথা জানালেও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না। বরং তারা কতিপয় নেতা নামধারিদের বাসায় ব্সায় আইপিএস উপহার পাঠিয়ে স্থানীয় লোডশেডিং বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসী বিদ্যুৎ’র জন্য এই আন্দোলন করছেন। রায়পুর পলী বিদ্যুৎ সমিতির ডি.জি.এ জাকির হোসেন বলেন, এসময়ে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং হয়ে থাকে। এখানে আমার কোন হাত নেই। রায়পুরের প্রায় ২৬ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। অথচ পাই মাত্র দেড় থেকে দুই মেগাওয়াট। তারপরও উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে লোডশেডিং কিভাবে কমানো যায় সে ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হবে। লক্ষীপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মন্নান মুন্সি বলেন, রায়পুরের াবদ্যুৎ ব্যাবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এত ঘনঘন লোডসেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিগ্ন ঘটছে। পানির অভাবে সকালে গোসল পর্যন্ত করা যায় না। দ্রুত কতৃপক্ষকে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
0Share