রায়পুর প্রতিনিধিঃ নতুন ভাড়াটিয়া, ব্যবসায়ীদের কাছে চাদাঁ দাবি, সড়কে গাছ ফেলে পরিবহনে চিনতাই ডাকাতি, মাদক বিক্রিও সেবন. জুয়া ও নারীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনায় জিম্মি হয়ে পড়েছে রায়পুর পৌর শহরের নতুনবাজারবাসী। এঘটনায় অতিষ্ট বাসিন্দারা উপজেলা, পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
বুধবার বিকেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ওই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ করে জানান, গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের (যুবলীগ) নামধারী দুইজন বখাটের নেতৃত্বে কয়েক বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পৌর শহরের নতুন বাজারবাসী। ওই বখাটেরা ওই এলাকার নতুন কোন ভাড়াটিয়া ও ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে আসলে ২-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাদাঁ আদায় করেন। না দিলে মাদক দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানোর হুমকী দেন। রাতে উপজেলা পরিষদ গেইট থেকে হায়দরগঞ্জ সড়কে গাছ ফেলে সিএনজি আটক করে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যায়। দিনে বা রাতে নিরাপদে নারীরা যাতায়াত করতে পারে না। তাদের সাথে বাবা-ভাই-স্বামী- কোন স্বজন থাকলে তাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও দিনে এবং রাতে ওই এলাকার কয়েকটি স্থানে জমজমাট জুয়ার আসর বসে। কয়েক দিন আগে একটি দোকান নিয়ে এক হিন্দু ব্যবসায়ীর সাথে ওই বখাটেরা ঝগড়া করে ব্যবসায়ীকে বিতাড়িত করে। এঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করলে বখাটেদের হাতে প্রতিবাদকারীদের হতে হয় লাঞ্চিত, অপমানিত ও অপদস্ত। এলাকাবাসীর মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এঘটনাগুলো নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠকে বসে এবং প্রশাসনকে জানিয়ে ওই বখাটেদের সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু তারা আরো বেপরোয়া হয়ে অবৈধ কর্মকান্ডে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এবিষয়গুলো নিয়ে স্থধানীয় পৌর কাউন্সিলর মাইন উদ্দিন ভুইয়া বলেন, স্থানীয় বখাটেরা প্রভাবশালী পুরবারের সন্তান হওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা শুনছে না। ক্রমেই তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, বখাটেদের বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দারা লিকিতদ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share