রায়পুর:এইচএসসি তে শিক্ষার্থীদের সরকারী ভর্তি ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ৩’শ টাকা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় দফায় দফায় কলেজে তালা ও অবরুদ্ধের ঘটনায় শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনে রাজিমের সাথে কথা হলে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষকে দেখে নিবে এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ দেখে বিভিন্ন দপ্তরে প্রচার করতে দেখা যায়। গত সোমবার রাতে দুই ছাত্রলীগ নেতা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে রায়পুর থানায় চাঁদাবাজী মামলা করলে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ছাত্রলীগ নেতা রাজীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’দিন কারাভোগ করার পর রোববার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা কারগার থেকে বের হয়ে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের ৪ সদস্যদের একটি ভর্তি কমিটি গত সোমবার সকাল ১০ টায় ২০১৪ সালে এসএসসিতে উর্ত্তিন শিক্ষর্থীরা এইচএসসিতে কলেজের নির্দিষ্ট ফি নিয়ে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেন। এতে কয়েক শিক্ষর্থী ভর্তি হয়। এসময় সকাল ১১ টায় কলেজ শাখার ছাত্রলীগের আহব্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাজিমের নেত্রেত্বে কয়েক নেতাকর্মী অধ্যক্ষের কক্ষে এসে ওই ফি থেকে জনপ্রতি ৩’শ টাকা অতিরিক্ত নিয়ে তা তাদেরকে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানালে ছাত্রলীগ নেতা রাজিমসহ কয়েকজন অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করে প্রায় অধাঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুরো কলেজ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে অধ্যক্ষকে বাসায় পৌছে দেন। এসময় রাজিমসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের আহব্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাজিম বলেন অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরন করেছেন। আমি কারগার থেকে বের হয়েছি অধ্যক্ষকে এবার দেখে নিব বলে হুমকি দিয়ে আপনারা (সাংবাদিক) আমার বিরুদ্ধে এসব নিউজ করে আমার কিছুই করতে পারবেন না।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর সফিক উদ্দিন বলেন, রাজিম বহিরাগত সন্ত্রাস। সে ছাত্রলীগের আহবায়ক পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা দাবী ও আদায় করেছে। আমি মান সম্মানের ভয়ে এতদিন কিছুই বলতে পারিনি। আমি আ’লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ও থানা কে বিষয়টি অবহিত করেছি।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, রাজিমের বিরুদ্ধে কলেজে চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা অবহিত করে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছিল। অতিদ্রুত তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে প্রেরন করা হবে। তার পরেও কলেজে কোন সমস্যা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
0Share