রায়পুর প্রতিনিধিঃ রায়পুরে তসলিম উদ্দিন মেম্বার নামে এক আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজী মামলা করায় গত ৫দিন ধরে ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মিজানুর রহমান নামে এক ছাত্রদল নেতা। তিনি শনিবার বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ করেন। এছাড়াও এ ঘটনায় ঐ এলাকায় উভয় পক্ষের লোকদের মধ্যে সশস্ত্র মহড়া চলছে এবং উভয় দলের নেতাকর্মীরা একে অপরকে নানান হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন ধরে ১০নং রায়পুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম মেম্বার মিজানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। ঐ দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় ঐ নেতা তার সশস্ত্র লোকজন নিয়ে গত সোমবার সকাল ১০ঘটিকার সময় মিজানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। এ সময় দোকানে থাকা নগদ ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা, ২৬ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেট, ৬৪ হাজার টাকা মূল্যের ২০ বস্তা সয়াবিন লুটে নেয়াসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে চলে যায়। পরে ৭ আগস্ট মিজান বাদী হয়ে আ’লীগ নেতা তসলিম উদ্দিন, মোঃ বাহার, মোঃ সোহাগ ও ওসমান গণিসহ অজ্ঞাত ২৫জনকে আসামী করে লক্ষ্মীপুর আদালতে চাঁদাবাজী ও লুটপাটের মামলা করে। সেই থেকে ঐ আ’লীগ নেতাসহ তার লোকদের হত্যার হুমকির ভয়ে মামলার বাদী ও ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্রদল নেতা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা তসলিম উদ্দিন মেম্বার বলেন, গত রোববার রাতে মিজানের দোকানে কে বা কারা চুরি করে। এতে মিজান আ’লীগের ৬ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। তাতে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে মিমাংসার কথা বলায় মিজান তার লোকদের নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। মিজানসহ ৪ জন ও অজ্ঞাত ৫জনকে আসামী করে থানায় চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, আ’লীগ নেতা ও ছাত্রদল নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে চাঁদাবাজী ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হায়দাগঞ্জ ফাঁড়ি থানার ইন্চার্জ এসআই ফরহাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
0Share