তাবারক হোসেন আজাদ: এনজিও প্রশিকা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা শাখার কর্মকর্তারা গ্রাহকের প্রায় ১০লাখ টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে আমানতের টাকা না পেয়ে ২০ গ্রাহক ই.এন.ও সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করে ঐ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় প্রশিকার দুই কর্মকর্তা কার্যালয়ে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ বামনী ইউনিয়নের মোবাশ্বেরা, মরিয়ম, রানী, আকলিমা ও চর পাতা গ্রামের ফাতেমা আক্তার সহ ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন গ্রাহক সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১২ বছর আগে উপজেলা পরিষদের সামনে নূর হোসেন নামে এক লন্ডন প্রবাসির ভবনে প্রশিকার কার্যক্রম শুরু করেন। কর্মকর্তারা পৌরসভা সহ ১০টি ইউনিয়নে ১০-১৫ জন মহিলা নিয়ে একটি সমিতি গঠন করে। এই সমিতির একজন নারীর নেতৃত্বে অন্য সদস্যদের মাঝে ১০-৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া এবং এক’শ টাকা থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আমানত জমা রাখে। এভাবে চলার পর প্রায় ৪ মাস আগে প্রশিকার কার্যালয় গিয়ে দিখা যায় কোন কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের কার্যালয়ে নেই। তবে ৩নং চরমোহনা গ্রাম থেকে রোকেয়া বেগম নামে এক নারী এবং ফরিদগঞ্জ শাখা থেকে একজন কর্মকর্তা এসে কম্পিউটারে কাজ করে কয়েক ঘন্টা থেকে চলে যান। মঙ্গলবার বিকালে প্রায় ২০ জন গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চাইতে ঐ কার্যালয়ে আসে। ঐ কর্মকর্তা কোন উত্তর না দিয়ে কার্যালয় তালা মেরে পালিয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয় করা টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বিক্ষোভ করে ইউ.এন.ও, ও.সি-কে ঘটনাটি অবহিত করে তারা বাড়ী ফিরে যায়।
এ বিষয়ে কথা বললে ওই ভবনের পাহারাদার মাসুদ ও এন.জি.ও ব্যুরোর ম্যানেজার মোঃ সামাদ বলেন, গত ৩/৪ মাস ধরে গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা না পেয়ে কয়েকবার বিক্ষোভ করেছেন। ম্যানেজার মুজিব সহ অন্য কর্মকর্তারা ৪ মাস আগেই কার্যালয় ছেড়ে চলে যান। তবে ফরিদগঞ্জ থেকে একজন কর্মকর্তা ও চরমহোনা গ্রাম থেকে একজন মহিলা মাঝে মাঝে এসে কাজ করে যায়। শুনেছি প্রশিকা কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচাতে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে থানা সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
প্রশিকার ঢাকা হেড অফিসের হারুন নামের এক কর্মকর্তার মোবাইলে (০১৭১১৪৬৪১৭১) যোগাযোগ করা হলে তিনি রং নাম্বারর বলে ফোনটি কেটে দেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম ও ওসি একেএম মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, প্রশিকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন। তবে ম্যানেজার না থাকায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
0Share