তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর: সওজ অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নিম্নমানের কংকর দিয়ে সংস্কারের ৩ মাস না যেতেই খুলনা-চট্ট্রগ্রাম হাইওয়ে (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ১৭ কিলোমিটার) সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে সড়কের চলাচলকারী পরিবহনের যাত্রীরা চরম দূর্বোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কটি আবার মেরামতের জন্য একাধিকবার সওজ কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারকে বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে চালকও যাত্রীরা অভিযোগ করেন। তবে ঘাটে ঘাটে টাকা দিলে সড়ক নির্মান ও সংস্কার কাজে কিছুটা অনিয়ম হবে বলে ঠিকাদার দাবী করেন।
এ দিকে ঐ সড়কের সিদ্ধার রাস্তা মাথা নামক স্থানে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভাটটিও নিম্ন মানের কংকর দিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাকাদারী প্রতিষ্ঠান রূপালী ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে। তবে ঠিকাদার তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন।
লক্ষ্মীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২ কোটি ব্যয়ে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ১৭ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার কাজটি (ডাবল বিটুমিন সারপেস স্ট্রিটমেন্ট) কাজটি পান কুমিল্লার কান্দির পাড় এলাকার রানা বিল্ডারর্স লিমিটেডের মালিক মোঃ পাখি। এ কাজটি এপ্রিল ও মে ২মাস লক্ষ্মীপুর জেলা (সওজ) কর্তৃপক্ষের অধীনে সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়। এ এক বছরের মধ্যে এ সড়কের কোন সমস্য হলে তা কাজ করে দেয়ার জন্য সংস্লিস্ট ঠিকাদারের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলি ও কয়েক জন ঠিকাদার বলেন, নিম্নমানের কংকর ব্যবহার করায় সড়কটির সংস্কারের তিন মাস না যেতেই বিভিন্ন স্থান (রায়পুর বাস টার্মিনাল, ভূঁইয়া রাস্তার মাথা, সিদ্ধার রাস্তার মাথায় সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটওয়ারী রাস্তার মাথায়, রাখালিয়া সি.এন.জি ষ্টেশন, মাইলের মাথা ও দালাল বাজার) সড়কের বড় বড় গর্ত ও ফেটে গেছে। এতে করে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েকবার এ সড়ক কাজের ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষকে আবার মেরামতের জন্য বলা হলেও তারা কথা শুনছেন না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মোঃ পাখি মোবাইল ফোনে জানান, একটি সড়কের কাজ করতে প্রশাসন, প্রকৌশলী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের টাকা দিতে হয়। কাজ করতে গেলে অনিয়ম হবেই। কয়েকদিন পরেই এ সড়কের বিভিন্ন গর্ত ও ফাটলের কাজ করে দেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বদলী হওয়ায় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, এক বছরের মধ্যে ১৭ কিলোমিটারে সড়কটির সমস্যা হলে সংস্কারের কাজ করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব সড়কের গর্তগুলো ও পাটল মেরামত করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0Share