রায়পুর প্রতিনিধি: পনের বছরের বিউটি আক্তার নামে এক প্রতিবদ্ধি কিশোরি কে ৯ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সে রায়পুর উপজেলার চরমহোনা ইউনিয়নের মৃত হুমায়ুন ও পঙ্গু-দৃষ্টি প্রতিবদ্ধি হোসনেয়ারা বেগমের মেয়ে। মেয়েকে না পেয়ে অভিবাবক ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনায় বৃহঃবার রাতে ওই কিশোরীর নানা আফাজউদ্দিন বাদি হয়ে ওই গ্রামের বাচ্চু বোরকন্দাজের ছেলে স্থানীয় কবিরাজ রিয়াজ হোসেন রানা, তার মা দেলোয়ারা বেগম ও চাচাতো ভাই সবুজের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষন ও অপহরন মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে আছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর কবিরাজ রিয়াজের ঘরে রাতের খাবার দিতে যান শাররিক প্রতিবদ্ধি বিউটি। রিয়াজ তার স্ত্রীর ও সন্তানদের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে লোভ দেখিয়ে বিউটিকে ধর্ষন করে আসছিল। এক পর্যায়ে বিউটি ৩ মাসের অন্তস্তা হয়ে পড়ে।
এই ঘটনা পাশের বাড়ীর খদেজা নামে এক মহিলার নজরে আসলে সে বিউটির পরিবারকে জানায়। পরে সুযোগ বুঝে অন্তসত্তা বিউটিকে নিয়ে কবিরাজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা অবস্থান করছে।
বিউটির মা হোসনেআরা বেগম জানান, আমি অন্ধ হওয়ায় কোথায় যেতে পারিনা। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই এবং এই ঘটনার জন্য কবিরাজের শাস্তি দাবি জানান।
চরমহোনা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম মিটু ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মঞ্জুর হক আকন্দ বলেন, নির্যাতিত কিশোরীর নানা আফাজউদ্দিন বাদী হয়ে কবিরাজ সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও অপহরন মামলা করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে এস আই মইনুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0Share