রায়পুর প্রতিনিধি: আবারো জয়নব বেগম (২০) নামের এক নববধূকে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানির ঘটনায় তোলপাড় চলছে। প্রথম স্বামী সাহিদুজাজ্জামান শুভকে ডিভোর্স
না দিয়েই দ্বিতীয় স্বামী আবুল খায়ের সুমনের সঙ্গে সংসার শুরু করায় মামলা করেছে প্রথম স্বামী শুভ। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে। মামলা প্রত্যাহারে দ্বিতীয় স্বামী ও গৃহবধূর পরিবার হুমকি দিচ্ছে বলে প্রথম স্বামীর অভিযোগ। ডিবি পুলিশের তদন্তেও ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
বুধবার বিকালে রাখালিয়া আব্দুল ছমিদ হাওলাদার বাড়ির সাহিদুজ্জামান শুভ সাংবাদিকদের জানান, একই গ্রামের ইমাম হোসেনের কন্যা জয়নব বেগমের (২০) সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের পর এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট কাজী অফিসে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। এক পর্যায়ে জয়নবের পিতা-মাতা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে জয়নবকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একই এলাকার পূর্ব বিবাহিত আবুল খায়ের সুমনের সঙ্গে ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দেন। সেই থেকে অনেক জয়নাব আর শুভর বাড়িতে ফিরেনি। সকল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় শুভ তার স্ত্রী জয়নাবকে ফিরে পেতে স্ত্রীসহ ৭জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছে।
বিয়ের নিকাহ রেজিস্টার আব্দুর রব জানান, শুভ ও জয়নবের স্ব-ইচ্ছাতেই তিনি কাবিন রেজিস্ট্রি করেছেন। কাবিনের পর মাওলানা দিয়ে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি এ বক্তব্য লিখিতভাবে দিয়েছেন বলেও জানান।
এ ঘটনায় গৃহবধূ জয়নবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে কথা বলতে রাজী হয়নি। তবে তার পিতা ইমাম হোসেন বলেন- আমার মেয়ে কলেজ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জোরপূর্বক সাহিদুজ্জামান শুভ তার বাড়িতে নিয়ে বিয়ে করে। এতে আমরা অসন্তুষ্ট হয়ে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাই। পরে শুভকে ডিভোর্স দেয়ার পর পার্শ্ববর্তী আবুল খায়ের সুমনের সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। আদালতে এ বিষয়ে ফয়সালা হবে।
বুধবার বিকালে লক্ষ্মীপুর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা আনোয়ার বলেন- আদালতের নির্দেশে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রথম স্বামী শুভর দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে। ২/৩ দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১০/১২ দিন পূর্বে রায়পুর উপজেলার সাগরদী গ্রামে একই ধরণের একটি ঘটনা ও দুই স্বামীর পাল্টাপাল্টিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
0Share