রায়পুর প্রতিনিধিঃ রায়পুরে মাওলানা তছলিম নামে শশুর তারই পূত্রবধূ কে যৌন হয়রানীর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। লম্পট শশুরের বিচার দাবী ও স্বামীর গৃহত্যাগ ছেয়ে ইউপি
চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই নারী ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পরিবারকে নিয়ে কেরোয়া ইউপি চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে বৈঠক হয়। পরে সকলের সম্মতিতে তালাক প্রাপ্ত হয়ে ওই নারী পিতার বাড়ী চলে যান।
ওই নারী ও তার পরিবার জানান, প্রায় ৪ মাস আগে কেরোয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকার মাওলানা তছলিমের ছেলে ঢাকার গামের্ন্টস ব্যাবসায়ী মানিক বিয়ে করেন তাদের পাশ্ববর্তি কামারহাট এলাকার এক প্রবাসীর মেয়েকে।
বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী মানিক ও শাশুড়ীর অনুপস্থিতে ওই নারীকে তার কক্ষে গিয়ে যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে আসছিল লম্পট শশুর তছলিম। এ ঘটনা ওই নারী তার স্বামী ও শাশুড়ীকে জানিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে অভিভাবককে জানান।
পরে তারা লম্পট মাওলানা তছলিমের বিরুদ্ধে বিচার দাবী ও স্বামীর গৃহ ত্যাগ চেয়ে কেরোয়া ইউপি চেয়াম্যানের কাছে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী মানিকের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পিতা অভিযুক্ত মাওলানা তছলিম উদ্দিন বলেন, তার পূত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িত, উশৃংখল নারী। কয়েকবার তার অভিভাবককে বলেও লাভ হয়নি।
তার এবং এলাকাবাসীর যে অভিযোগ তা মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। তার প্রতিপক্ষ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি জমি সংক্রান্ত মামলা করায় তারা তার পূত্রবধূকে দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
রায়পুর কেরোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা নাজমুল হুদা বলেন, মাওলানা তছলিমের বিরুদ্ধে তার পূত্রবধূ ও এলাকাবাসীর অভিযোগ গুলো মৌখিকভাবে করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পরিবারকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার পর তালাকের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে মিমাংশা করা হয়েছে।
0Share