রায়পুর প্রতিনিধিঃ রায়পুরে মালবাহী কাভার্ডভ্যান ভাংচুর ও সড়কে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় পিস্তলসহ ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত দুইটায় পানপাড়া সড়কের জোরপোল নামক স্থানে। এ ঘটনায় এসআই জহিরও এসআই আবুল বাসার বাদি হয়ে আটক ৩ জনসহ ৩২ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেন। রোববার দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন কেরোয়া গ্রামের মৃত ছফি উল্যার ছেলে মোক্তার হোসেন (৪২), নরসিংদির রায়পুরা উপজেলার চান্দের কান্দি গ্রামের শহীদ উল্যার ছেলে রায়পুর শহরের মেসার্স রাফিন ইলেকট্রনিক্সের মালিক জামাল হোসেনের ছোট ভাই শাহরিয়ার খান (৩২) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁও গ্রামের মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে ও রায়পুর শহরের ষ্টার সেলুনের মালিক দিপঙ্কর চন্দ্র শীল (২৮)।
পুলিশ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ৬টি মালবাহী কাভার্টভ্যান লেংড়া বাজার নামক স্থানে পৌছলে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা তা ভাংচুর চালিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রোববার সকালে এসআই জহির হোসেন বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম ইল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পনের জনের নামে গাড়ী ভাংচুর ও ডাকাতির চেষ্টার মামলা এবং এসআই আবুল বাসার বাদি হয়ে শাহরিয়ার খান ও দিপঙ্করকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযৃক্ত মোক্তার হোসেন বলেন, তিনি নির্দোষ ও সেলুন মালিক দিপঙ্কর অবরোধে গাড়ী না পাওয়ায় শাহরিয়ারের মটর সাইকেলে করে রামগঞ্জ হয়ে ফরিদগঞ্জ নিজ বাড়ীতে যাচ্ছিলেন।
শাহরিয়ার ব্যাবসায়ীক কাজে রামগঞ্জে যাচ্ছিলেন। গুলিভর্তি পিস্তলটি তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
রায়পুর থানার এসআই আবুল বাসার বলেন, গাড়ী ভাংচুর ও ডাকাতির চেষ্টা ও অস্ত্র মামলায় আটক তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
0Share