রায়পুর প্রতিনিধিঃ স্মৃতি আক্তার (১৩) পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে মেধা তালিকায় জিপিএ ৫ অর্জন করেন। সে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ও লক্ষ্মীপরের রায়পুর শহরের দক্ষিন
দেনায়েতপুর গ্রামের দিন মজুর অজি উল্যার মেয়ে। গত তিন দিন ধরে স্মৃতি বিদ্যালয়ে অনুপস্তিত। এতে বান্ধবিরা স্মৃতির অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছিলেন না।
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকালে বান্ধবিরা জানতে পারলেন অচেনা এক বৃদ্ধ (৪০) চা দোকানদারের সাথে স্মৃতির বিয়ে হচ্ছে। এতে বান্ধবি কান্তা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঘটনাটি ইউএনওকে জানান। পরে ইউএনও পুলিশ পাঠিয়ে স্মৃতিসহ তার মা পারুল বেগম ও ভাই মান্নাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় বর ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তাদের ঠিকানা নেয়া সম্ভব হয়নি। তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট ইউএনও শঅরমীন আলমের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং লেখাপড়া বিঘœ না ঘটানোর মর্মে অঙ্গিকার নামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্মৃতি আক্তার জানান, আমি লেখাপড়া করতে পারব এটা জেনে আনন্দে লাগছে। আমার বিয়েটা বন্ধ হওয়ায় বান্ধবি কান্তা, প্রধান শিক্ষক ও ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক ময়নাল হোসেন বলেন, আমার চাকরী জীবনে প্রথমে এমন সাহসিকতার ঘটনা দেখলাম। ইউএনওর নির্দেশে স্মৃতির বাড়ীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার ও তার মা ভাইকে আটক করা হয়। তাদেরকে মুচলেকা নিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন আলম জানান, স্মৃতির বান্ধবি কান্তার সাহসিকতা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে স্মুতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
0Share