রায়পুর প্রতিনিধিঃ রায়পুরে রাসেল (৩০) এক ইয়াবা ডিলারকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করে ৩৪ ধারায় কোর্টে চালান দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শহরবাসির
মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রায় ৬ মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘ দিন কারাভোগ করার পর জামিনে রয়েছে। এ দিকে সোমবার (৯ মার্চ) রাতে রাসেলকে পৌর শহরের নতুন বাজার মহিলা কলেজের সামনে থেকে আবার আটক করা হয়। সে ওই এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী আবুল বাশারের একমাত্র ছেলে।
নতুনবাজার এলাকার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাসেল তার পিতার ঔষধ ব্যবসার সুবাধে প্রশাসেনর চোখে ফাঁকি দিয়ে মরণ নেশা ইয়াবা ও ফেনসিডিলের জমজমাট ব্যবসা করে আসছিল। সম্প্রতি সে কুমিল্লা থেকে আসা বিপুল পরিমানের ফেনসিডিলের চালানসহ নিজ বাসায় প্রেফতার হন পুলিশের হাতে।
দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সে ব্যবসা শুরু করে। সোমবার রাতে তার বাসার সামনে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ময়নাল রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাসেলের পক্ষে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে জোর তদবির চালায়। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ রাসেলকে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় শহরবাসির মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, থানার এক অফিসারের সাথে রাসেলের সখ্যতা থাকায় সে মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে রাসেল কে গ্রেফতারকারী রায়পুর থানার (এসআই) মোঃ ময়নাল হোসেন খানঁ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আটকের সময় মাতাল ছিল তবে তার দেহ তল্লাশির পর তার কাছে মাদকদব্য পাওয়া যায়নি। যার কারণে তাকে ৩৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হলো।
রায়পুর থানার ওসি মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, রাসেল রায়পুরের বড় ইয়াবার ব্যবসায়ী তা আমার জানা নেই। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
0Share