রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে নিজ জমির পাকা সয়াবিন তুলতে গিয়ে লুটের মামলার আসামী হলেন কৃষক মোহাম্মদ আলী হাওলাদার। গত রবিবার উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরঘাসিয়া গ্রামে আলীর নিজের ৩.২২
শতাংশ জমির সয়াবিন তুলতে গেলে একই এলাকার আবুল হোসেন তালুকদার এ মামলা করেন। পরে পুলিশ কৃষকের পাকা সয়াবিনগুলো ফাড়ি থানায় জব্দ করে রাখেন। নিজের জমির পাকা সয়াবিন হারিয়ে দিশেহার এখন কৃষক আলী।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোহাম্মদ আলী হাওলাদার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চরঘাসিয়া গ্রামে কৃষক মোহাম্মদ আলী হাওলাদার প্রায় ২০ বছর ধরে ৫.৭৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসাছে। কয়েক বছর পর ওই জমি থেকে ২.৪০ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেয়।
বাকী জমিটি বিক্রি করার জন্য স্থানীয় আবুল হোসেন তালুকদার মোহাম্মদ আলীকে চাপ সৃষ্টি করে। ওই জমি বিক্রি করতে না চাইলে বিভিন্ন কারণ নিয়ে আলীকে হুমকি প্রদান করলে এনিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশ বৈঠক হয়। চলতি বছর আলী বাকী ৩.৩৬ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করে।
সয়াবিনের বম্পার ফসলও হয়। গত রবিবার মোহাম্মদ আলী লোকজন নিয়ে নিজ জমির সয়াবিন তুলতে গেলে আবুল হোসেন তালুকদার ১৫-২০ লোক নিয়ে আলীকে সয়াবিন তুলতে বাধা দেয় এবং এই জমি নিজের দাবি করেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথাকাঠাকাটি হয়। পরে আবুল হোসেন তালুকদার ফাড়ি থানায় গিয়ে তার নিজের জমি দাবি করে কৃষক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে লুটের মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তুলা সয়াবিনগুলো ফাড়ি থানায় জব্দ করে রাখে।
অভিযুক্ত আবুল হোসেন তালুকদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান খালেদ হোসেন দেওয়ান বলেন, কয়েক মাস ধরে ওই জমিটি নিয়ে দু’জনের মঝে মালিকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ দিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হয়। স্থানীয় ভাবে কোন সমাধানের আগেই উভয় মামলায় জড়িয়ে পড়েন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিটি আলী ভোগ দখল করে আসছেন।
ফাড়ি থানার এসআই সিরাজ মিয়া বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকায় সয়াবিনগুলো জব্দ করা হয়েছে। জমির কাগজপত্রের প্রমানিত হলে মূল মালিক সয়াবিনগুলো ফিরে পাবেন। লুটের মামলাটি তদন্ত তদন্ত চলছে।
0Share