লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সোহরাব হোসেনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে সোহরাব হোসেনকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার থেকে সোহরাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোহরাব নোয়াপাড়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে বৃষ্টি চলাকালে ওই ছাত্রী বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সোহরাব তার পথরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। কান্নাকাটি শুরু করলে সোহরাব তার হাতের মুঠোয় ৫০ টাকা দিয়ে কাউকে ঘটনাটি না বলতে নিষেধ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা চাপ দেয়। পরে মেয়ের বাবা ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানায়।
রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহির উদ্দিন বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
0Share