লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় দোকান কর্মচারী মো. সুমন খুনের ঘটনায় ঘাতক সোহেলের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা শহরের পুলিশ বক্স চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা খুনি সোহেলের দ্রুত বিচারসহ ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহত সুমনের বাবা মো. ইউনুছ আলীসহ তার স্বজনরা।
এর আগে, রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর নাগমুদ গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২১ জুলাই রাত থেকে সুমন নিখোঁজ ছিলেন। সুমন কুমিল্লার মুরাদপুরের সুজানগর গ্রামের মো. ইউনুছ আলীর ছেলে।
ঘাতক সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। সুমন ও সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারের মো. ইউসুফের মুদি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। সুমন-সোহেল একে অপরের বন্ধু ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তারা দু’জন কয়েক বছর ধরে ওই মুদি দোকানে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে সোহেলের চাকরি চলে যায়। এর আগে, সুমনের কাছ থেকে সোহেল টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত ২১ জুলাই রাতে সুমনকে ডাব খাওয়ানোর কথা বলে বাগানে ডেকে নেন সোহেল। এ সময় সোহেল ফের টাকা ধার চান সুমনের কাছে। সুমন আগের দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে সোহেল দা দিয়ে সুমনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সুমনের মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান সোহেল।
এদিকে, সুমনকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার বাবা ইউনুছ রামগঞ্জ থানায় গত ২৭ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওইদিন বিকেলে সোহেলের বাবা বাবুল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। খবর পেয়ে সোহেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। রোববার তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির নির্জন বাগান থেকে মাটি চাপা অবস্থায় সুমনের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হক বলেন, আটক সোহেল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
0Share