লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে জাল জালিয়াতি ও প্রতারনা মামলা করেছেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী।
তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমীন বলেন, আমার পাওনা টাকা না দিতে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করে সম্মানহানী করা হয়েছে। (১৩ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী।
মামলায় অন্য স্বাক্ষীদের সাথে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহানকেও স্বাক্ষী করা হয়েছে।
মামলা বিবরনে জানা যায়, ২০১৯ইং সনের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী যশোরের চৌগাছায় আত্মীয়র বাড়ী থেকে ফেরার পথে এক্সিম ব্যাংক (হিসাব নম্বর: ০১১৩১০০০৪৮২৬৩) মতিঝিল শাখার একটি স্বাক্ষরিত চেকসহ ৩ টি চেকের পাতাসহ চেক বই ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ একটি ব্যাগ হারিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার পরদিন ১১ মার্চ যশোরের চৌগাছা থানায় মনির হোসেন চৌধুরী একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (যার নম্বর ৪২৯, তারিখ ১১-৩-২০১৯ইং) । গতবছরের ১২ মার্চ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবেও জানান তিনি। চেক হারানোর ঘটনার প্রায় ৬ মাস পরে জেলা জর্জ কোর্টের জারীকারকের মাধ্যমে তিনি (মনির হোসেন চৌধুরী) জানতে পারেন সি.আর-৩১৬/১৯ইং ধারা এন.আই.এ্যাক্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি জানার পর তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার হারানো চেক বইয়ের স্বাক্ষরিত পাতায় (চেক নম্বর ৬৫২৫৬৪৭) মোটা টাকার অংক বসিয়ে আ.ক.ম রুহুল আমিন (উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক) জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিপদে ফেলার জন্য চেকটি ডিজঅনার মামলাটি করেন।
মামলায় আরো জানায়, এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়ের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিনকে হারিয়ে যাওয়া চেকটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি চেকটিতে বসানো টাকাটি তার দাবী করলেও কিভাবে চেকটি পেয়েছেন তার কোন সদুত্তোর না দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সৃষ্ট ঘটনায় রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার দফারফা হওয়ার পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৌখিকভাবে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের অঙ্গীকার দিলেও তিনি তা করেননি।
বরং আমিসহ কয়েকজন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে কেন মামলাটি প্রত্যাহার কেন করা হয়নি জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আমাকে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এসময় তার নিকট আরো চেক রয়েছে দাবী করে আরো মামলা দায়ের করা হবে বলেও হুমকি দেয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, আমার পাওনা টাকা না দিলে মামলাতো করবোই। বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সে আমাকে চেক প্রদান করলেও আমি ব্যাংকে গিয়ে টাকা না থাকায় তা উত্তোলন করতে পারিনি। আমার কাছ থেকে ধার নেয়া টাকা ফেরত না দিতে মনির হোসেন চৌধুরী মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।
0Share