লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। এসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, এক নায়কতন্ত্র ও সরকারি অর্থ আত্মসাত, টাকার বিনিময়ে সরকারি ঘর বরাদ্ধ, গভীর নলকূপ বিতরণ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ও মাতৃত্বকালীন ভাতা ও সোলার বিতরণে অনিয়মসহ দুর্নীতির অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান হোসেন রানার বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল পাটওয়ারী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ হাসান পাটওয়ারী, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন করিব, ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান হোসেন, যুবলীগ নেতা কাজী মোঃ শহীদ ও ভুক্তভোগী মোঃ জসিমসহ স্থানীয়রা।
এর আগে পরিষদের ৮ জন সদস্য (মেম্বার) অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছে হোসেন রানার বিরুদ্ধে। বিষয়টি লিখিতভাবে দুদক ও ডিসিকেও জানানো হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান হোসেন রানা ইউনিয়নের উপকারভোগী ১০০ মহিলার ভিজিডি কর্মসূচির চালের তালিকায় নিজের বোন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য (মেম্বার), ইউপি সদস্যের স্ত্রী, অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দা ও প্রবাসী স্বচ্ছল পরিবারের নারীদের অন্তরভূক্ত করে সুবিধা দিচ্ছেন। সুফলভোগীদের অনেকের বাড়িতে বিল্ডিং এবং গৃহকর্তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এছাড়াও ভূক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানের দাপটে এলাকার মানুষ জিম্মী রয়েছে। তিনি যা ইচ্ছে-তাই করেন। টাকা ছাড়া এ ইউনিয়নে কোন সেবা পাওয়া যায় না। আমার বাবাকে শ্রমিক দেখিয়ে সরকারি টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেছে। আমি ঘটনাগুলো তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
0Share