নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আই অ্যাম অ্যাসল্টেড, আমি লাঞ্চিত হয়েছি। কেউ আমার ফোন ধরেনা, আমি আগেই আমার শিডিউল দিয়েছি। আমি অ্যাসল্টেড।’
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গণসংযোগ চলাকালীন সময়ে নৌকার কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান পবন। এ সময় তিনি কথাগুলো বলেন।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবনের ঈগল প্রতীকের গণসংযোগ ও প্রচারণা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই রামগঞ্জ শহরের সোনাপুর চৌরাস্তায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় নৌকার কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন পবন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪ টার দিকে রামগঞ্জ শহরের আল আরাফাহ কাউন্টারের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবনের ঈগল প্রতীকের কর্মীরা জড়ো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অপু মালের নেতৃত্বে উত্তর দিক দিকে নৌকার একটি মিছিল ওই স্থানে আসে। একই সময়ে পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভর নেতৃত্বে নৌকার আরেকটি মিছিল আসে। মাঝখানে ঈগলের কর্মীরা অবস্থান নেয়। এসময় সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে ঘটনাস্থলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন উপস্থিত হয়ে তার কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল ওই স্থান থেকে সোনাপুরের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের পেছনে পেছনে নৌকার কর্মীরা অরেকটি মিছিল নিয়ে যায়। এসময় দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এর এক পর্যায়ে নৌকার কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন হাবিবুর রহমান পবন।
পবন বলেন, আমার প্রতীক ঈগলে ভোট চেয়ে প্রচারণায় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় নৌকার কর্মীরা এসে আমাদের গণসংযোগে বাঁধা সৃষ্টি করে। তারা আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত করে। আমার পরনের কাপড় ধরে টানাটানি করে। বিষয়টি আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে মিছিলের নেতৃত্বে থাকা পৌর কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান শুভর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্থতার অজুহাত দিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, এ বিষয়ে কোন প্রার্থী অভিযোগ দেয়নি। ইলেকট্ররাল কমিটি আছে, প্রার্থী চাইলে সেখানে অভিযোগ দিতে পারে। যে কোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share