রামগঞ্জ: রামগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমনকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন ওই থানার দুই এসআই ও দুই এএসআই’র বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা ও জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যুবদল নেতা সুমনের বাবা উপজেলার চাঙ্গিরগাঁও গ্রামের শামসুননূর পাটোয়ারী বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিক উল্যাহ। মামলায় রামগঞ্জ থানার ওসি ছাড়াও এসআই মোজাম্মেল হোসেন, লুৎফুর রহমান, এএসআই শরীফুল ইসলাম ও আবদুল মমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী মো সাইফুল ইসলাম সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রামগঞ্জ থানার হাজতখানায় ওসি লোকমান হোসেন ও অভিযুক্ত ৪ পুলিশ সুমনের ওপর নির্যাতন চালায়।এক পর্যায়ে ওসি লোকমান হোসেন ইজেকশনের সিরিঞ্জ সুমনের দুই চোখে ঢুকিয়ে চোখের ভেতর থেকে তরল পদার্থ বের করে আনে। এতে চোখের মনি নষ্ট হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতাল ভর্তি না করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক উল্যাহ বলেন, আদালত আহত যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের চোখ ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ নিয়েছেন।
সুমন রামগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি বলে দাবি করেছেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পলাশ। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লোকমান হোসেন নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, সাইফুল ইসলাম সুমন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্রসহ রামগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। ওইদিন তাকে গ্রেফতার করার পর স্থানীয় জনতা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিতে চেষ্টা করে। ওই সময় উত্তেজিত জনতার ইটপাটকেল নিক্ষেপে তিনি আহত হন। ওই সময় পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরে আহত সুমনকে রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
0Share