নিজস্ব প্রতিনিধি:রামগঞ্জ থানা হেফাজতে যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম সুমনকে নির্যাতনের বিষয় তদন্তে গঠিত মেডিকেল টিম প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেন মেডিকেল টিমের প্রধান লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. গোলাম ফারুক ভূঁইয়া।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল টিমের এক সদস্য সুমনের দুটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানালেও সিভিল সার্জন কোনো কথা বলতে রাজি নন।
সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল টিমের চিকিৎসকগণ সাইফুল ইসলাম সুমনের চোখ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
তবে, মেডিকেল রিপোর্টে কী পাওয়া গেছে সেটা বলতে রাজি হননি সিভিল সার্জন।
রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের যুবদলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা সামছুন নুর পাটওয়ারী গত বুধবার (১৩ অগাস্ট) লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয় রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, এস আই শরীফ, এস আই মমিন, এস আই মোজাম্মেল ও এস আই লুৎফুর রহমানকে।
মামলার এজাহার বলা হয়, গত ৭ অগাস্ট রামগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলাম সুমনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে দুদিন ধরে থানা হেফাজতে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পাঁচ পুলিশ অফিসার মিলে ইনজেকশনের সুঁই দিয়ে চোখের ভেতরের পানি বের করে ফেলে এবং চোখের মনি নষ্ট করে ফেলে।
এ মামলায় আদালত সুমনের চোখ পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম গঠনের আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবুল খায়ের, মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. জাকির হোসেন, চক্ষু বিভাগের সার্জন ডা. মো. আলতাফ হোসেন ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. আহমদ উল্লাহ নিপু।
0Share