রামগঞ্জ সংবাদদাতা: রামগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ী গ্রামের ঠাকুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে টেঁটাবিদ্ধ মোঃ ইমাম হোসেন, মোঃ আকবর হোসেনকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও অপর ১০ জনকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর কে জানান, কেথুড়ী গ্রামের আন্তির বাড়ির শিরিন আক্তার কয়েক বছর ধরে ওয়ারিশি জায়গা ক্রয় করে বাড়ি সংলগ্ন ঠাকুর বাড়ির ১ একর জায়গায় খামার করে মাছ চাষ করে আসছে। ক্রয়কৃত ওই জায়গা নিয়ে বাড়ীর লোকজনদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলে আসছিল। দুপুরে শিরিনা আক্তারের স্বামী শফিকুল ইসলাম মাছের খামারে মাছ ধরতে গেলে একই বাড়ীর হোসেন, আউয়াল, স্বপন, হারুন ও রতন তাকে মারধর করে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে শিরিন আক্তার, তার মেয়ের জামাই সফিকুর রহমান ও মোঃ ইমাম হোসেন, মোঃ আকবরসহ তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শিরিন আক্তার, শফিকুল ইসলাম, সফিকুর রহমান, মোঃ ইমাম হোসেন, মোঃ আকবর হোসেনসহ উভয় গ্রুপের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
0Share