নিজস্ব প্রতিনিধি: মুক্তিপনের ২০ হাজার টাকা নেয়ার সময় রামগঞ্জ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহৃত আবুল খায়ের বাদী হয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয় জনকে
আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক সজিব হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরাফাত হোসেন সজল ও উপজেলা ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য ফারুক হোসেন।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বন্দের জের ধরে রামগঞ্জ থানার ওসির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে রামনগর এতিম খানার সামনে থেকে একই গ্রামের আমিন উল্যাহর ছেলে প্রবাসী আবুল খায়েরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেন, আরাফাত হোসেন সজল ও ফারুক হোসেন।
এ সময় আমিন উল্যাহকে স্থানীয় দেওয়ান বাড়ির পরিত্যক্ত স্থানে বেঁধে রাখেন তারা। রাত ১০টার দিকে অপহৃত আবুল খায়েরের ভাইয়ের কাছে অপহৃরণকারীরা ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২টার দিকে রামনগর মসজিদের সামনে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসেন ছাত্রলীগ নেতারা। এর আগেই ঘটনাটি জানালে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে।
তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া সুমন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সঙ্গে ছাত্রলীগের দ্বন্দের জের ধরে ওসির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, অপহৃতের পরিবার ঘটনাটি আগেই পুলিশকে জানালে মুক্তিপণের টাকা নেয়ার সময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
0Share