রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আখিঁ আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরি গৃহকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সেনাকর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নিহত আখিঁ (১৩) ওই গ্রামের
দিনমজুর আলমগীর হালদারের মেয়ে। সোমবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকার মিরপুর এলাকার অবসর প্র্প্তা সেনা কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ২ টায় নিহত সেনা কর্মকর্তা,তার ছোট ভাই সবুজ ও একজন এডভোকেটকে নিয়ে নিহত কিশোরির লাশ তার গ্রামের বাড়ি চরবংশির বাড়িতে নিয়ে রেখে চলে যায়।
মঙ্গলবার সকালে (১২ মে) মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুরে হাজিমারা ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এসআই সিরাজ সুরতহাল প্রতিবেদনের পর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ্য রয়েছে নিহত কিশোরির গলায় হাতের ছাপ, পা ও মুখসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিভাবক, গন্যমান্য ব্যাক্তি ও পুলিশের ধারণা কিশোরিরকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ এঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি।
নিহতের পিতা আলমগীর হাওলাদার জানান- প্র্য়া দেড় বছর আগে তার চাচাত বোনের মাধ্যমে আমার মেয়ে আখি কে সেনাকর্মকর্তার ঢাকার মিরপুরের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সে ২ বার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বিভিন্ন সময় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হতো না। সোমবার (১১মে) মেয়েটি টয়লেটে পড়ে মারা গেছে বলে সেনাকর্মকর্তার পরিবার থেকে জানানো হয়। রাত ২ টায় মেয়েটির লাশ বাড়িতে রেখে সেনাকর্মকর্তা চলে যায়। ময়না তদন্তে রিপোর্ট আসলে তখন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে ওসি জানান।
এ ঘটনায় যোগাযোগ করলে সেনাকর্মকর্তার ভাই সবুজ জানান, মেয়েটি বাসার টয়লেটে পড়ে মারা গেছে। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়নি বলে অবঃমেজর বা তার পরিবার জানান।
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল্লা আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- ঘটনাস্থল ঢাকার মিরপুর থানা এলাকা হওয়ায় আমরা কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারছি না। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share